Thursday, January 31, 2019

উঁচু হিলে শরীরের যেসব ক্ষতি হয়!


অনেক নারী নিজেকে একটু লম্বা দেখাতে বা পা দুটোকে আকর্ষণীয় সুন্দর দেখাতে অনেকেই হাই হিল পরেন৷ হাই হিল পরার পাঁচটি ক্ষতিকর দিকের কথা জানলে অনেক নারীই হয়ত আর এমন ভুল করবেন না।

১) পায়ের হাড়ের বড় রকমের ক্ষতি করে:
ওয়াশিংটন পোস্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাই হিল দীর্ঘদিন পরার কারণে নারীদের পায়ের হাড় নাজুক হয়ে যায়৷ হাড়ে চিড় ধরে, এমনকি কখনো কখনো তা ভেঙেও যায়৷ তখন নিজেকে একটু লম্বা বা সুন্দর দেখানোর জন্য হাই হিল পরতে গিয়ে বাকি জীবনে ভীষণ ভুগতে হয় অনেক নারীকে৷

২) নারীর হাঁটুর ভয়ানক ক্ষতি করে হাই হিল:
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত হাই হিল জুতো পরলে নারীদের হাঁটুতে চাপ পড়ে৷ স্বাভাবিকের চেয়ে মাত্র ৫ সেন্টিমিটার উঁচু হিলের স্যান্ডেল পরলেই নারীদের হাঁটুতে অন্তত ২৩ শতাংশ চাপ বেড়ে যায়৷ বেশিদিন হাঁটুতে অতিরিক্ত চাপ পড়ার কারণে অনেকের অস্টিওআর্থ্রাইটিস হতে পারে৷ পুরুষের চেয়ে মেয়েদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দ্বিগুণেরও বেশি৷

৩) ঘাড়ে ব্যাথা:
হাই হিল জুতো শুধু মেরুদণ্ড, শ্রোণী এবং পা নয়, ঘাড়েরও ক্ষতি করে৷ পায়ে হাই হিল থাকায় নারীদের মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক অবস্থান বদলে যায়৷ ঘাড়ে এর প্রভাব পড়ে৷ অনেক সময় ঘাড়ে ব্যথা হয়৷ আবার ঘাড়ের পেশিরও ক্ষতি করে হাই হিলের জুতো৷

৪) নারীর শরীরের মাংশপেশির ক্ষতি করে:
নারীরা উঁচু হিলের জুতো পরলে পা সব সময় স্বাভাবিকের চেয়ে উঁচু হয়ে থাকে৷ তাছাড়া সারাক্ষণ বেশি চাপ পড়ার কারণে মাংসপেশিগুলোতে ব্যথা, যেমন ‘সাইটিকা’ ও অন্যান্য জটিলতা দেখা দেয়৷যেটা নিয়ে পরে অনেক ভুগতে হয়।

৫) নারীর মেরুদন্ড থেকে পা পর্যন্ত ব্যথা:
হাই হিল পরলে নারীদের মেরুদণ্ড এবং মেরুদণ্ড আর নিতম্বের মাঝের জায়গা, অর্থাৎ শ্রোণীর ওপরেও অতিরিক্ত চাপ পড়ে৷ এ কারণে কিছুদিন পরই মেরুদণ্ড, শ্রোণী এবং পায়ের পেশিতে ব্যথা শুরু হয়৷ এবং এক সময় এই রোগ স্থায়ী হয়ে যায়৷তাই হাই হিল পরার আগে শেষবারের মতো একবার ভাবুন। কারন পরিণতি কি হতে পারে তা এতক্ষন ধরে পড়েছেন।
সূত্র- মুক্তমঞ্চ

ভালো থাকুন | School of Awareness

Wednesday, January 30, 2019

আঁটোসাঁটো জিন্সের প্যান্ট শরীরের ক্ষতি করতে পারে!


একেবারে আঁটোসাঁটো জিন্স পরার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, এরকম পোশাক শরীরের পেশী এবং নার্ভের ক্ষতি করতে পারে।

সম্প্রতি ৩৫ বছরের এক মহিলার পায়ের গোড়ালি ফুলে ঢোল হয়ে যাওয়ার পর তার পরনের আঁটোসাঁটো জিন্সের ট্রাউজার্স ডাক্তারদের কাঁচি দিয়ে কেটে খুলে নিতে হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার এই মহিলা বাড়ী বদলের জন্য তার ঘরের জিনিসপত্র গোছানোর সময় দীর্ঘ সময় মাটিতে পা মুড়ে বসে কাজ করছিলেন। সন্ধ্যে নাগাদ তার পা পুরোপুরি অবশ হয়ে যায় এবং তিনি আর হাঁটতে পারছিলেন না।

জার্নাল অব নিউরোসার্জারি এন্ড সাইক্রিয়াট্রিতে চিকিৎসকরা এই মহিলার ঘটনা উল্লেখ করে ‘স্কিনি জিন্স’ বা আঁটোসাঁটো জিন্সের পোশাক পরার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছেন।

চিকিৎসকদের ধারণা এই মহিলা ‘কম্পার্টমেন্টে সিনড্রোমে’ আক্রান্ত হয়েছিলেন। শরীরের একগুচ্ছ পেশী রক্তপাত এবং ফুলে যাওয়ার কারণে যে অবস্থার তৈরি হয় তাকেই চিকিৎসকরা ‘কম্পার্টমেন্টাল সিনড্রোম’ বলেন। এটি বেশ গুরুতর রূপ নিতে পারে।

স্কিনি জিন্স গত এক দশক ধরে ফ্যাশন সচেতন মেয়েদের কাছে খুবই জনপ্রিয় পোশাক। তবে এরকম পোশাকের বিরুদ্ধে এই প্রথম চিকিৎসকদের কাছ থেকে সতর্কবাণী শোনা গেল।

সুত্র: BBC বাংলা।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Thursday, January 24, 2019

কন্ট্যাক্ট লেন্সে চক্ষু হারানোর ঝুঁকি!


আজকাল অনেকে বারবিকিউ পার্টি করে থাকে বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয় স্বজনদের সাথে। এইরকম বন্ধুদের সাথে বারবিকিউ পার্টি করতে গিয়েছিল ২১ বছরের এই মেয়েটি, সে চোখে লেন্স পরতো। মেয়েটি বারবিকিউ বানাচ্ছিলো এইজন্য সে আগুনের কাছেই ছিল। কিন্তু ২-৩ মিনিট পরে সে চিল্লানো শুরু করে। তারপর লাফালাফি শুরু করে চোখ ধরে। তার বন্ধুরা কিছুই বুঝতে পারছিল না কেন এমন করছে সে। পরে জলদি মেয়েটিকে হসপিটাল এ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার তাকে দেখে জানায়, সে আর জিবনেও কখনও চোখে দেখতে পারবে না। কারন তার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। এর কারন: কন্ট্যাক্ট লেন্স বানানো হয় প্লাস্টিক দিয়ে। মেয়েটি অতিরিক্ত উত্তাপের সামনে থাকার কারনে তার লেন্স গলে যায় এবং চোখের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এইজন্য তার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।

এখন অনেকেই কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যাবহার করে। তাদের মধ্যে অনেকেই মাঝেমধ্যে বারবিকিউ পার্টি ও করি। তাই আমাদের সতর্ক থাকা উচিৎ। আমরা চাই না আর যেন একটি জীবন এভাবে ঝরে যাক। হারিয়ে ফেলুক তার দৃষ্টিশক্তি। মানুষ মানুষের জন্যে ! তাই শেয়ার করুন এই পোষ্টটি। হয়তোবা এর মাধ্যমে একজনের উপকার হতে পারে।
আশা করি সবাই সচেতন হবেন এই সুন্দর পৃথিবী দেখার অধিকার আমাদের সকলের আছে । আর তাই আমরা যেন আমাদেরই অবহেলার কারনে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যে না হারাই।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Wednesday, January 23, 2019

Preface to Harmful Smartness!


স্কুল অব অ্যাওয়ারনেস এর "অনিষ্টকর স্মার্টনেস" বিভাগে আপনি সেইসব বিষয় জানতে পারবেন যেসব আমরা স্মার্টনেস মনে করে করে থাকি কিন্তু তা আসলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।